রক্ত (Blood) কি ?

রক্ত হল মানুষের জীবন রক্ষাকারী, উচ্চশ্রেণীর প্রাণিদেহের এক প্রকার কোষবহুল, বহু জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত সামান্য লবণাক্ত, আঠালো, ক্ষারধর্মী ও লালবর্ণের ঘন তরল পদার্থ যা হৃৎপিণ্ড, ধমনী, শিরা ও কৈশিক জালিকার মধ্য দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হয়। রক্ত একধরনের তরল যোজক কলা। রক্ত প্রধানত দেহে অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পরিবাহিত করে। রক্ত হল আমাদেরে দেহের জ্বালানি স্বরূপ। মানবদেহে মোট ওজনের শতকরা ৭ ভাগ রক্ত থাকে (গড়ে মানবদেহে ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে)। রক্তের পিএইচ সামান্য ক্ষারীয় অর্থাৎ ৭.৩৫-৭.৪৫। মানুষের রক্তের তাপমাত্রা ৩৬ – ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (গড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড)।

রক্তে কি কি উপাদান (Components of Blood) থাকে ? 

রক্তে মূলত দুটি উপাদান থাকে (০১) রক্তরস বা Blood Plasma ( ৫৫ % ), (০২) রক্তকণিকা (Blood corpuscle) ৪৫% )। রক্তে বেশির ভাগ জল থাকে, এই জলিয় অংশকে প্লাজমা বলে। এছাড়াও রক্তের কোষীয় অংশকে রক্তকোষ বা করপাসলস বা রক্ত কণিকা বলে। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তকণিকাগুলো রক্তরসে ভাসমান থাকে। লোহিত রক্তকণিকার আধিক্যের কারণে রক্ত লাল দেখায়। এই রক্ত কণিকা গুলি হল তিন প্রকার, যথা – লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা।

রক্তে কি কি উপাদান (Components of Blood) থাকে  

স্বেচ্ছায় রক্তদান কেন ?

রক্তদান হল কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেবার প্রক্রিয়া। এই দান করা রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয় অথবা অংশীকরণের মাধ্যমে ঔষধে পরিণত করা হয়। উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই হলেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা, যারা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান করেন। দরিদ্র দেশগুলোতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বেশ কম, বেশিরভাগ রক্তদাতাই কেবল তাদের পরিচিতজনদের প্রয়োজনে রক্তদান করে থাকেন। বেশির ভাগ রক্তদাতাই সমাজসেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন । বর্তমান যুগে একমাত্র স্বেচ্ছায় রক্তদাতার রক্তই সঞ্চারণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। রক্তবিক্রেতার ও বাণিজ্যিক ব্লাড ব্যংক থেকে সংগৃহীত রক্ত গুণগত নিম্নমানের, এই রক্ত প্রিয়জনের মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

কখন রক্ত লাগে ?

অপারেশনে বা দূর্ঘটনায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে বা বিশেষ রোগে শরীরের রক্ত কমে গেলে রক্ত সঞ্চালণের প্রয়োজন হয়।

কারা রক্ত দিতে পারবেন ?

১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন। যাদের ওজন ৫০ কেজি বা তার বেশি (কখনো সর্বনিম্ন ওজন ৪৫ কেজিও ধরা হয়)। কোনো ব্যক্তি একবার রক্ত দেওয়ার ৪ মাস পর আবার রক্ত দিতে পারবেন। একজন পুরুষের শরীরের ওজনের কেজিপ্রতি ৭৬ মিলিলিটার এবং মহিলাদের ৬৬ মিলিলিটার রক্ত থাকে । এর মধ্যে প্রত্যেকের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন কেজি প্রতি ৫০ মিলিলিটার বাকীটা উদ্বৃত্ত ।

রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা কি কি

রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা কি কি ?

১)  নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

২) বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। শরীরের অস্থিমজ্জা নতুন রক্তকণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়, অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়।

৩) রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

৪) রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৫) শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোনো রোগ আছে কি-না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়।

৬) নিয়মিত রক্তদানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিপায়। রক্ত উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে যায়। যে কারনে রক্তদানে মানুষের আয়ু বাড়ে |

৭) শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে।

৮) এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।

(৯) ক্যান্সার রিসার্স ইনস্টিটউট এর তথ্য মতে রক্তদান না করলে হাড়ের মধ্যে অবস্থিত অস্তিমজ্জা দূর্বল হয়ে ক্যান্সোরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বছরে অন্ততঃ ৩ বার রক্ত দান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেকের নীচে নেমে আসে।

(১০) যারা ব্যায়াম করে না। শরীর মোটা বা চিকন হউক তাদের ক্যালরি কমানোর জন্য রক্তদান জরুরী ।

১১। রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।

১২। প্রতি একবার রক্ত দিলে ৬৫০ ক্যালরি করে শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

কারা রক্ত দান করতে পারবেন

কারা রক্ত দান করতে পারবেন ?

০১। ১৮-৬০ বছরের যেকোনো সুস্থ দেহের মানুষ রক্ত দান করতে পারবেন। দাতার ওজন অবশ্যই ৫০ কিলোগ্রাম কিংবা এর থেকে বেশি হতে হবে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।

০২। কারও চর্মরোগ, হৃদরোগ, ক্যানসার, সিজোফ্রেনিয়া, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, টাইফয়েড ও বাতজ্বর না থাকলে তিনিও রক্ত দান করতে পারবেন।

০৩। মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না, তারাও রক্ত দান করতে পারবেন।

০৪। কিছু রোগে আক্রান্ত রোগীরা নির্দিষ্ট সময় পর রক্ত দিতে পারেন, যেমন টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার ১২ মাস পর, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার তিন মাস পর রক্ত দান করতে পারবেন।

০৫। সাধারণ সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া বা অন্য কোনো সাধারণ রোগ থেকে সেরে ওঠার ১৪ দিন পর কিংবা ওই রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করলে ওষুধের ডোজ শেষ হওয়ার ১৪ দিন পর রক্ত দান করা যাবে।

০৬। যে কোন সুস্থ্য ব্যাক্তি চার মাস অন্তর রক্ত দান করতে পারবেন।

কারা রক্ত দান করতে পারবেন না

০১। হৃদরোগ কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ যেমন হাঁপানি, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, যক্ষ্মা, টাইফয়েড, ডায়াবেটিস, চর্মরোগ, বাতজ্বর, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রক্ত দিতে পারবেন না।

০২। রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, এইডস ইত্যাদি থাকলে রক্ত দান করতে পারবেন না।

০৩। নারীদের মধ্যে যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা ও ও স্তন্যদানকালে, যাঁদের ঋতুস্রাব চলছে তাঁরা রক্ত দেবেন না, সন্তান জন্মদানের এক বছরের মধ্যেও না।

০৪। দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল সেবন করলে কিংবা বিগত ছয় মাসে পাঁচ কেজি বা তার বেশি ওজন হ্রাস পেলেও রক্ত দান করা যাবে না।

০৫। দুই সপ্তাহের মধ্যে কারও কোনো অস্ত্রোপচার, ট্যাটু, কান ফোটানো কিংবা জ্বর হলে তিনিও সাময়িকভাবে রক্ত দান থেকে বিরত থাকবেন।

০৬। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম (পুরুষদের ন্যূনতম ১২ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং নারীদের ন্যূনতম ১১ গ্রাম/ডেসিলিটার হতে হবে) থাকলে।

০৭। রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক না থাকলে রক্ত দেওয়া ওই মুহূর্তে উচিত নয়।

০৮। যাঁরা কিছু ওষুধ সেবন করছেন, যেমন, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি, অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি তাঁরা সে সময় রক্ত দেবেন না।

০৯। যাঁদের বিগত ৬ মাসের মধ্যে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁরা রক্ত দেবেন না।

রক্ত দেয়ার পূর্বে করনীয়

১) আপনি যদি কোনো কারণে অসুস্থবোধ করে তবে সেদিনের মতো রক্ত দেয়া থেকে বিরত থাকুন ।

২) রক্ত দেয়ার পূর্বে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে নিন, কিন্তু তৈলাক্ত কিছু খাবেন না।

৩) রক্ত দানের পূর্বে প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার খাবেন।

৪) যেদিন রক্ত দেবেন তার আগের রাতে অনেকটা সময় ভালো করে ঘুমিয়ে নেবেন।

৫) ভরাপেটে খাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পরে রক্ত দেয়া ভালো।

৬) খালি পেটে না দিয়ে হালকা খাবার খেয়ে রক্ত দেয়া ভালো।

রক্তদানের পরে করনীয়

১) নূনতম ১৫ মিনিটি সময় শুয়ে থাকতে হবে। হঠাৎ করে উঠে বসা বা উঠে দাঁড়ানো যাবে না।

২) প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই ব্যাপারে অবহেলা করা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

৩) আয়রন, ফোলাইট, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল মাংস, মাছ, ডিম, কিশমিশ, কলা ইত্যাদি ধরণের খাবার খেতে হবে।

৪) কয়েক ঘণ্টার জন্য শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা যাবে না। এবং বেশ কিছুদিন সাধারণ সময়ের তুলনায় একটু কম পরিশ্রম ও বিশ্রাম নিতে হবে।

৫) রক্তদানের ৩ মাস পর নতুন করে রক্ত দেওয়া যাবে, এর আগে নয়।

রক্তদানের ফলে মানসিক শান্তি

রক্তদান করার পর অনাবিল এক মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। এটি অনুভূত হয় যে আমার দেওয়া রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারেছে। প্রতিদিনই আমাদের সমাজে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আর থ্যালাসেমিয়া রোগীদের কারও দশ দিন, পনের দিন, প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট একটি সময় পর পর তার শরীরে রক্ত দিতে হয়। এবং প্রতিবার রক্ত দেবার পর ঐ শিশু পরবর্তী রক্ত গ্রহণ পর্যন্ত বেচেঁ থাকে। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্ত গ্রহণ সম্পর্কিত কথাটি ভাবলেই রক্তদাতার মূহুর্তেই সকল কষ্ট ভুলে যায় এবং তার মন অন্যতম এক ভালোলাগায় পরিণত হয়।

দান করা রক্ত কতদিনে ও কিভাবে পূরণ হয় ?

রক্তের জলীয় অংশ ২ দিনে আর রক্তকণাগুলি ২১ দিনে স্বাভাবিক নিয়মে পুরণ হয়ে যায়। এর জন্য পুষ্টিকর খাবার, কোন ওষুধ বা বাড়তি বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না। রক্তদানের আধঘন্টা পরেই স্বাভাবিক কাজে ফিরে যাওয়া যায়।

রক্তদানে কি ব্যাথ্যা লাগে ?

ইনজেকশন নেওয়ার ব্যথার ন্যায় সামান্য ব্যাথা লাগে।

 

রক্ত দিতে কত সময় লাগে ?

এবং রক্তদান করতে বড় জোর ৩/৪ মিনিট সময় লাগে।

যে কোন সময়ে যতবার খুশী রক্ত দান করা যায় কি ?

না। চিকিৎসক পরীক্ষা ও প্রশ্ন করে যোগ্য বলে বিবেচনা করলে তবেই রক্তদান করা যায়। দুবার রক্তদানের ব্যবধান হতে হবে তিন মাস। এভাবে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে মোট ১৬৮ বার রক্তদান করা সম্ভব।

রক্তদানে রোগাক্রান্ত হব সম্ভবনা আছে কি ?

আদৌ না, কারণ রক্ত সংগ্রেহের জন্য জীবাণুমুক্ত সুচ প্রত্যেকের জন্য শুধুমাত্র একবারের বেশি ব্যবহার করা হয় না।

রক্তদানের আগে দাতার কি কি পরীক্ষা করা হয় ?

ওজন, রক্তচাপ ও নাড়ীর গতি এবং সম্পূর্ণ সুস্থ কিনা ?

রক্ত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী -/strong>

০১ ) মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে ? ➫ প্লীহাতে । ( 36 th Bcs )

০২ ) হিমোগ্লোবিন কোন জাতীয় পদার্থ ? ➫ আমিষ । ( 35 th Bcs )

০৩ ) রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কী ? ➫ অক্সিজেন পরিবহন করা । ( 34 , 25 th Bcs )

০৪ ) অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত সুগার হলো – ➫ গ্লাইকোজেন । ( 34 th Bcs )

০৫ ) মানব দেহে শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস কি ? ➫ শ্বসন । ( 34 th Bcs )

০৬ ) কোনটি রক্তের কাজ নয় ? ➫ জারক রস বিতরণ করা । ( 15 th Bcs )

০৭ ) রক্তকণিকায় কোনটি থাকে ? ➫ হিমোগ্লোবিন ।

০৮ ) উচ্চ রক্ত চাপের জন্য দায়ী কোনটি ? ➫ পিটুইটারি গ্রন্থি ।

০৯ ) রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার কাজ কি ? ➫ অক্সিজেন বহন করা ।

১০ ) সিস্টোলিক চাপ বলতে কি বুঝায় ? ➫ হৃদপিন্ডের সংকোচন চাপ ।

১১ ) বাংলাদেশে রক্তদানে কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আছে ? ➫ সন্ধানী ।

১২ ) পূর্ণবয়স্ক পুরুষের মোট রক্তের গড় পরিমাণ কত ? ➫ ৫ লিটার ।

১৩ ) পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তির ফুসফুসে বায়ু ধারণ ক্ষমতা কত ? ➫ ৬ লিটার ।

১৪ ) মানুষের রক্তে কত ধরনের কণিকা আছে ? ➫ ৩ ধরনের ।

১৫ ) লোহিত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল কত ? ➫ ১২০ দিন ।

১৬ ) রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে কোনটি ? ➫ ফাইব্রিনোজেন ।

১৭ ) মানবদেহের গঠনে কোন উপাদানের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি ? ➫ আমিষ ।

১৮ ) মানুষের রক্তে PH কত ? ➫ ৭ . ৪ ।

১৯ ) হিমোগ্লোবিন কোথায় থাকে ? ➫ লোহিত রক্ত কণিকায় ।

২০ ) একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে কত লিটার রক্ত থাকে ? ➫ ৫ – ৬ লিটার ।

২১ ) মানুষের দেহে শ্বেত রক্তকণিকা ও লোহিত রক্তকণিকার অণুপাত কত ? ➫ ১ঃ৭০০ ।

২২ ) খাদ্যের কোন উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে ? ➫ আমিষ ।

২৩ ) রক্তের কোন গ্রুফকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলা হয় ? ➫ AB .

২৪ ) ইনসুলিন কি ? ➫ এক ধরনের হরমোন ।

২৫ ) আমাদের দেহকোষ রক্ত থেকে কি গ্রহণ করে ? ➫ অক্সিজেন ও গ্লুকোজ ।

২৬ ) রক্তের কোন গ্রুফকে সার্বজনীন দাতা বলা হয় ? ➫ O+.

২৭ ) রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে কোনটি ? ➫ অনুচক্রিকা ।

২৮ ) ফাইব্রিজোন কোথায় তৈরি হয় ? ➫ যকৃত ।

২৯ ) রক্ত শূন্যতার ফলে চুপসে যায় কোনটি ? ➫ শিরা ।

৩০ ) দেহের অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধে না কেন ? ➫ রক্তে হেপারিন থাকায় ।

৩১ ) হাইপোগ্লাইসেনিয়া কিসের অভাবে হয় ? ➫ রক্তের গ্লুকোজ ।

৩২ ) লোহিত রক্তকণিকা কোথায় তৈরি হয় ? ➫ লোহিত অস্থিমজ্জায় ।

৩৩ ) ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় ? ➫ শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধির ফলে ।

৩৪ ) রক্তশূন্যতা বলতে কি বুঝায় ? ➫ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া ।

৩৫ ) রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা কোষ বেড়ে যাওয়াকে কি বলে ? ➫ লিউকোমিয়া ।

৩৬ ) রক্তে প্রোটিনের হার কত ? ➫ ৫৫ ‍% ।

৩৭ ) কোন হরমোন রক্তে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে ? ➫ থাইরোক্যালসিটোননিন ।

৩৮ ) রক্ত জমাট বাঁধায় কোন ধাতুর আয়ন সাহায্য করে ? ➫ ক্যালসিয়াম ।

৩৯ ) লিস্ফোসাইটের আয়ুষ্কাল কত ? ➫ কয়েকঘন্টা – ১ দিন ।

৪০ ) কোন রাসায়নিক পদার্থ রক্ত নালীর সংকোচন করে ? ➫ সেরোটোনিন ।

Leave a Comment

Recent Posts

Sheikh Hasina Software Technology Park, Level-10, Shankarpur, Jashore, Jessore, Bangladesh

+880 1708-894501

Navigations